মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে একনেক সভায় অংশ নেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
পুকুর ও খাল পুনঃখনন করতে ১ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ব্যবহারের উপযোগী করার পাশাপাশি পুকুর-খালে পানির ধারণক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির মজুদ বাড়ানো, শুকনো মৌসুমে পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এ প্রকল্প।
এক হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পুকুর ও খাল পুনঃখনন প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায় তিন বছর আগে।
কিন্তু প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে কোনো সমীক্ষা না করায় এর অগ্রগতি হতাশাজনক। তিন বছরে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার খাল ও ছয় একর পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে না পারায় এখন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ৪২৩ কোটি টাকা। মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
এ প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘সারাদেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় পৌর এলাকার খাল, পুকুর, দিঘির পাড়ে ওয়াকওয়ে, সিটিং, পার্কিং ব্যবস্থাসহ অন্য সুবিধাদি অর্থাৎ, সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম নতুনভাবে যোগ করা হয়েছে।