বৈঠক সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে মার্চ মাসের বেতন, ১৭ এপ্রিল বা ২৫ রোজার মধ্যে ঈদ বোনাস এবং ঈদের ছুটির সময় এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিকরা। পাশাপাশি প্রতি ঈদে কিছু কারখানা বেতন-বোনাস না দিয়ে শ্রমিকদের পথে ঠেলে দেয়। এমন কারখানাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় তারা। বেতন-ভাতা পরিশোধে তারিখ নির্ধারণ না করলে এবং কোথাও কোনো সমস্যা হলে তার দায় মালিকের, বলেন শ্রমিক নেতারা।
বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধিরা বেতন ও বোনাস দেওয়ার তারিখ বেঁধে দিতে দাবি জানালেও মালিক পক্ষের বাধার মুখে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার বিষয়টি বাদ যায়।
বেতন বোনাস দেওয়ার বিষয়টি নির্দিষ্ট করার বিপক্ষে মত দেন মালিকরা। তারা বলেন, মালিক- শ্রমিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে। অনেক কারখানা শ্রমিকের চাওয়ার আগেই বেতন-বোনাস দেবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকরা যাতে ভালোভাবে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করতে পারে সেজন্য মালিকগণ ঈদের আগেই বোনাস দেবেন, নিয়ম অনুযায়ী এপ্রিল মাসের সাত কর্ম দিবসের বেতন পরিশোধ করবেন, তবে দু-একটি কারখানার মার্চ মাসের বেতন বকেয়া থাকে সেটা অবশ্যই ঈদের ছুটির আগেই পরিশোধ করবেন।
ঈদের ছুটির বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ছুটির সাথে মিলিয়ে কারখানা ভেদে শ্রমিক-মালিক আলোচনা করে ছুটির সিদ্ধান্ত নিবেন। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এপ্রিল মাসের ১০/২০ দিনের বেতনের দাবি করলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে টিসিসি সভায় কোনো সিদ্ধান্ত নেই। ষদি কোনো মালিকের সামর্থ থাকে এবং ইচ্ছুক হন তবে দিতে পারেন।