লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এসব নাগরিকদের মধ্যে সিরিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, সোমালিয়া ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক আছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি কিংবা অন্য দেশের কতজন রয়েছেন তা জানা যায় নি।
এক টুইটে সংস্থাটি জানায়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য রাতভরা চলা উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হয়। শেষমেষ ৮ নারী ও ৩০ শিশুসহ প্রায় ৪৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়। সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা গেছে। তবে পানিশূন্যতার কারণে একজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন, যাকে চিকিৎসার জন্য মাল্টায় পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাটির আরেক টুইটে জানা যায় , উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১০০ জনকে ইতালির সিসিলিতে নৌঘাটিতে স্থানান্তর করার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ৩৩৯ জনকে দেশটির আরেক শহর ব্রিন্দিসিতে পাঠানো হচ্ছে।
এর দুদিন আগে দুর্দশায় পড়া অভিবাসীদের ফোনের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া আরেক দাতব্য সংস্থা ‘অ্যালার্ম ফোন’ ভূমধ্যসাগরে ৪৪০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর একটি মাছ ধরার নৌকা খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে বলে খবর পায়।
অ্যালার্ম ফোনের মুখপাত্র ফ্লাভিয়া পেরগোলা বলেন, এমএসএফের উদ্ধার করা যাত্রীরা ১ এপ্রিল পূর্ব লিবিয়ার বেনগাজির কাছ থেকে যাত্রা করে। সমুদ্রে চার দিন অবস্থানের মধ্যে দুদিন তাদের না খেয়ে থাকতে হয়েছে।
এর আগে সোমবার ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছের একটি একটি মরু দ্বীপে আটকে থাকা ৩২ অভিবাসীকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করেছিল ইতালির কোস্ট গার্ড।