প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ বছরে আমাদের যে প্রজন্ম বা তার পরবর্তী প্রজন্ম, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ভাষণগুলো জানা, তাতে বাংলাদেশটাকে বোঝা, মানুষের অবস্থাটা জানা, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি, সবকিছু জানার একটা সুযোগ পাবে। বাংলাদেশটা কীভাবে চলবে সেই দিক-নির্দেশনা তিনি তার ভাষণে দিয়ে গেছেন। কাজেই এটা আমাদের জন্য একটা অমূল্য সম্পদ।’
তিনি বলেন, ‘সেই সংসদ অধিবেশনে (স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে) তিনি যে ভাষণগুলো দিয়েছেন, পরবর্তীতে সব ভাষণগুলোকে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, যেটা আমি মনে করি আমরা যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসি, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার পাশাপাশি অল্প সময়ে সংবিধান রচনার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি অর্থাৎ যারা জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, এই উভয় সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা গণপরিষদ গঠন করে, সেই পরিষদে একটি কমিটি করে দেন, আমাদের সংবিধান রচনার জন্য। এটা বোধ হয় পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল একটা ঘটনা। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে বাঙালি জাতিকে তিনি উপহার দিয়েছিলেন।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আর যে সংবিধান বোধ হয় সারা পৃথিবীতে একটি সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। এ কারণে এই অঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষই ছিল ক্ষুধার্ত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, একবেলা খাবার জোটাতে কষ্ট হত। সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তাদের মৌলিক চাহিদার প্রতিটি বিষয় সেখানে উল্লেখ করা রয়েছে। আমাদের সব ধরনের মানুষ, অনগ্রসর শ্রেণি সবার কথা সংবিধানে বলা আছে।’
একাদশ জাতীয় সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এ বৈঠকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।