বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছ।
আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৯৯০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এটাই সর্বনিম্ন এবং গত দুই দশকের গড় প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে কম।
জর্জিয়েভা বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলানো সম্ভব হলেও, ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে প্রবৃদ্ধির হার দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি যে বেড়ে গেছে, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতের ব্যর্থতায় এ আর্থিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, ঘুরে দাঁড়ানো শ্রমবাজার, ভোক্তা চাহিদা যথেষ্ট থাকা এবং চীনের উত্থান সত্ত্বেও আমরা ধারণা করছি এ বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশের কম থাকবে।
আগামী সপ্তাহে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ বৈঠকের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে দুর্বল ও ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর উন্নতির সম্ভাবনা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০২১ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ ছিল এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কার ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি প্রায় অর্ধেকে নেমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়ায়।
আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির অর্ধেকের কৃতিত্ব থাকবে ভারত ও চীনের। তবে ৯০ শতাংশ উন্নত অর্থনীতির দেশ এ বছর নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি হার দেখবে।
তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য ঋণ শোধ করা এবং দুর্বল রপ্তানির কারণে মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধি কমে আসবে।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে মূল্যস্ফীতির ঠেকানোর পরামর্শ দেন তিনি। ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকির পাশাপাশি রিয়েল এস্টেটের মতো খাতের দুর্বলতা পর্যবেক্ষণ করারও পরামর্শ দেন আইএমএফ প্রধান।