গত আগস্ট মাসেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন ঘটেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট শেষে প্রবাসীরা দেশে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন ব্যাংকিং চ্যানেলে, যা একক মাস হিসেবে গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এতেই বাড়ছে রিজার্ভের অঙ্ক। গতকাল ব্যাংকিং সময় শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বা তিন হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য। দেশে প্রথমবারের মতো রিজার্ভের পরিমাণ এত হলো।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানেই তা এবার ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালে বৈদেশিক দায় ও আমদানি বিল পরিশোধ কম হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিল ডেফার্ড করা হয়। অপরদিকে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
এজন্য রিজার্ভ থেকে খরচ সেভাবে হয়নি। এছাড়া বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তার কয়েকটি তহবিল যোগ হয়েছে। এতেই বাড়ছে বাংলাদেশের রিজার্ভ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুই শতাংশ হারে সরকারের প্রণোদনা দেওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ব্যাংকিং চ্যানেলে। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি বিল অনেক কম হয়েছে। বৈদেশিক দায় পরিশোধ সেভাবে করা হয়নি।
এছাড়া জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ৩০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে সম্প্রতি। এতে রিজার্ভ নতুন মাইলফলকে পৌঁছায়। করোনাকালে এটি একটি রেকর্ড। আকুসহ অন্যান্য দায় সমন্বয়ের পর কিছুটা কমে আসবে।
সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে (২০১৯-২০) প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০১৮-১৯) চেয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।