শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রবীর কুমার হালদার বলেন, ইতোমধ্যে শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের আওতাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় উপবৃত্তি প্রদানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের উপবৃত্তি দেওয়া শুরু হলে তা শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাবে। বিদ্যমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের আওতাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য এন্ট্রি হওয়ার পর পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হবে। ছাত্রছাত্রীদের আইডি হালনাগাদের কাজটি ‘প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে চলমান রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমাতে এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ধরে রাখার জন্য উপবৃত্তি চালু হয়। এখন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। এ উপবৃত্তির অর্থ পেত না শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৩১ হাজার ৮৫০ শিক্ষার্থী। তবে প্রতিবছর শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। একবার বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা ও বার্ষিক সন্তোষজনক ফলের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি সুবিধা পায়। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মাসিক মেধা কোটায় ৭শ টাকা ও সাধারণ কোটায় ৬শ টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার ৯৭.৯৬ এবং ঝরে পড়ার হার ১৯.২ শতাংশ। বিভিন্ন কারণে ছাত্রছাত্রীরা ঝরে পড়ে। যার মধ্যে অতিদরিদ্র ও শ্রমজীবী অন্যতম কারণ। শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের লক্ষ্যই হচ্ছে এসব ঝরে পড়া ছাত্রছাত্রী। আর এ জন্যই ১৯৯২ সালে শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়।