বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কার্ডে মোট ৩৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এরমধ্যে দেশি মুদ্রায় লেনদেন হয়েছে ৩৮ হাজার ৯০৬ কোটি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় ৫৫৭ কোটি টাকা। যা আগের মাসের তুলনায় পর্যায়ক্রমে ২৩০ কোটি এবং ৬৩ কোটি টাকা কম। এছাড়া আগের মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মোট লেনদেন কমেছে ২৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
দেশে অনেক আগেই ক্রেডিট কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর ২০২০ সালের জুনে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের হিসাবের বিপরীতে আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড ইস্যুর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে নিয়মিত কার্ডে লেনদেনের হার বেড়েই চলছিলো। তাছাড়া বিদেশ থেকে কোনো পণ্য কিনতে কার্ডে সহজে লেনদেন করতে পারায় বেড়েছিলো বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকেই কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন বাড়ছিলো। জুলাইয়ে কার্ডে লেনদেন হয় ৪৪০ কোটি টাকা। এরপরের মাসে আগস্টে ৫২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৫৮৫ কোটি টাকা, অক্টোবরে লেনদেন হয় ৬০৫ কোটি টাকা, নভেম্বরে ৫৭২ কোটি টাকা, ডিসেম্বরে ৬৩৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন কমে দাঁড়ায় ৬২০ কোটি টাকায়। ফেব্রুয়ারিতে তা আরও কমে ৫৫৭ কোটি টাকায় নেমে আসে।
গ্রাহকদের কাছে নগদ ও কার্ডে দুইভাবেই ডলার বিক্রি করে ব্যাংকগুলো। ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও ব্যবসার কাজে অনেকেই বিদেশে কার্ডের মাধ্যমে ডলার নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি দেশে ডলার সংকট প্রকট হওয়ায় কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন কমেছে। তাছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকে আয়েশি জীবন থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। এতেও দৈনন্দিন জীবনে ডলারের ব্যবহার কমে আসছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশি একজন নাগরিক ভ্রমণের জন্য বছরে ১২ হাজার ডলার সঙ্গে নিতে পারবে। চিকিৎসার জন্য অনুমতি ছাড়া ১০ হাজার ডলার এবং শিক্ষার জন্য গ্রেড ১২-এর নিচে বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যত লাগবে তত নিতে পারবে। যা ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম