মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মো. আবু নাছের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদের তত্ত্বাবধানে, কর্পোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আবু নাছের জানান, প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বঙ্গবাজারের ১.৭৯ একর জায়গাজুড়ে বালি ফেলে ও ইট বিছানো হচ্ছে। এরইমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা এবং প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। এছাড়া পুরো এলাকায় প্রায় ২.৫ লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে। পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থলে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলীর নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ১০৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণ কাজ এখনো চলমান।
এখন পর্যন্ত দুই কোটির বেশি টাকা অনুদান ও সাহায্য সহযোগিতা হিসেবে এসেছে উল্লেখ করে নাজমুল হুদা বলেন, দোকান মালিক বা পজিশন মালিক অথবা বরাদ্দ করা মালিক যেই হোক না কেন, ঈদের আগে আমরা ব্যবসায়ীদেরই গুরুত্ব দিতে চাই। পুর্নবাসন ও ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদানের বিষয়টি পরে সমন্বয় করা হবে।
গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই আগুন কেড়ে নেয় সব। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের মার্কেটগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই আগুনে আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।