যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এপ্রিলে এমনিতেই ভিড় লেগে থাকে পর্যটকদের। চেরী ফুল ফোটার এ সময়ে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠক উপলক্ষে সেই ভিড় রীতিমতো উৎসবে রূপ নেয়।
সারা বিশ্বের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ আর্থিক খাতের কর্তাব্যক্তিরা ওয়াশিংটনে আসেন এ সময়টায়। বাংলাদেশ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে অর্থসচিবসহ একটি প্রতিনিধি দলও গিয়েছেন। প্রথম দিনেই আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘আমরা ৫০০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে কাজ করছি। সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলব। সেটা হয়ে গেলে আশা করি আমরা ৩০ জুনের আগেই পেয়ে যাব।’
গভর্নরের আশা, শিগগিরিই বিশ্বজুড়ে জিনিসপত্রের দাম কমার সুবিধা পাবেন বাংলাদেশের ভোক্তারা। গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, কিছুদিন সময় লাগবে। টাকা এবং ডলারের মূল্য স্থিতিশীল হয়ে গেলে আশা করি ভোক্তারা সুবিধা পাবে।
করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নাজুক এক পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। এমন অবস্থায় বসন্তকালীন এ বৈঠকের উদ্বোধনী পর্বের আলোচনায় পৃথিবীতে মানবতা বাঁচাতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশ্বনেতাদের বিবেক জাগ্রত করার আহ্বান জানান।