চিকিৎসা শিক্ষাকে অধিকতর যুগোপযোগী, গতিশীল ও ব্যবহারিক করতে দেশের আটটি মেডিকেল কলেজে চালু হলো সিমুলেশন ল্যাব ও ই-লাইব্রেরি। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ল্যাবের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভার্চুয়ালি দেশের অপর সাতটি মেডিকেল কলেজে স্থাপন করা ল্যাবের উদ্বোধনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আটটি মেডিকেল কলেজে সিমুলেশন ল্যাব এবং ৩৭টিতে ই-লাইব্রোরি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা এখন ডিজিটাল ও স্মার্ট পদ্ধতিতে শিক্ষালাভের সুযোগ পাবে। উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও এই সুবিধা পেতে শুরু করল। এই উন্নত পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজেও চালু হবে।'
এই ল্যাবে অ্যাডভান্সড ডিজিটাল ডিসেকসন টেবিলের ব্যবহার করে ডিজিটালি মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘রোগী ও রোগীর স্বজনরা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসকদের সেবা নিতে গিয়ে নানাধরনের হয়রারির শিকার হচ্ছেন। তাদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য আমরা বৈকালিক চিকিৎসাসেবার কথা চিন্তা করেছি। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে বৈকালিক সেবা চালু হয়েছে। রোগীরা সেবা পাচ্ছেন। এই কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আশাকরি এ বছর সারাদেশে এই সেবা চালু হয়ে যাবে।'
উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবুল বাশার জামান, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক ডা. আরশাদ উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজেম আলী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী প্রমুখ।