শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে আগুনের সবশেষ পরিস্থিতি জানানোর সময় এ তথ্য দেন পরিচালক রেজাউল।
তিনি বলেন, মার্কেটটির ফায়ার সেফটি সিস্টেম অত্যন্ত দুর্বল ছিল। ব্যবসায়ীরা সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি দোকান বরাদ্দ নিয়ে করিডোরে আরও দুই-তিনটি সাব দোকান দিয়েছিলেন। যার কারণে করিডোরগুলো খুবই সংকীর্ণ হয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে কাপড়ের মাধ্যমে আগুন ছড়িয়েছে। এছাড়া মার্কেটের ফলস ছাদ, উপরে প্লাস্টিক আইটেম ও ব্যানার-পোস্টারের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসব ব্যানার-পেস্টুনের বিষয়ে আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার। এগুলো পরিহার করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, আগুন এখনো পুরোপুরি নির্বাপণ করা যায়নি। আমাদের ১২টি ইউনিট এখনো কাজ করছে। তবে এখন আর বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আমরা করছি না।
মার্কেটের ভেতরের পরিস্থিতি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক বলেন, মার্কেটের ভেতরের সবগুলো দোকানের সাটার আটকানো ছিল। যার ফলে দোকানের ভেতরের জামা-কাপড় বা ফেব্রিক্সগুলো এখন মোল্ডারিং অ্যাফেক্ট হচ্ছে। অর্থাৎ, তুষের আগুনের মতো কাপড়গুলো জ্বলছে। তাই আমরা প্রতিটি দোকানের সাটার খুলে খুলে পরীক্ষা করছি এবং পানি দিয়ে আগুন নির্বাপণ করছি।
মো. রেজাউল করিম বলেন, যেহেতু আমরা একটি একটি করে দোকান পরীক্ষা করছি, তাই আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে সময় লাগবে।
আগুনে কতগুলো দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোতলা ও তিনতলার বেশিরভাগ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্দিষ্ট সংখ্যাটি সিটি কর্পোরেশন বলতে পারবে। আমরা ধারণা করছি ২৫০-৩০০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানান, আগুনে ফায়ার সার্ভিসের ২৪ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালিতে সমস্যা হয়েছে।
এর আগে ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।