এ ঘটনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঘটনার পর থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি এবং কক্সবাজার জেলায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অগ্নিনির্বাপক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ১১ মাইল এলাকার অবস্থিত গ্রিড উপকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩০ মিনিট পর পর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে বৈদ্যুতিক গোলোযোগ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করলেও প্রকৃত কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এমনটি জানিয়েছেন গ্রিড উপকেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তারেকুল ইসলাম।
জানা যায়,শনিবার বিকালে ইফতারের আগ মুহূর্তে হঠাৎ বিকট শব্দে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদের গ্রিড উপকেন্দ্রের ২৩০/১২/৩৩ কেভির সিটিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।এ সময় ওই মহাসড়কের পাশে থাকা স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে বড় দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেল জাতীয় গ্রিড উপকেন্দ্রটি-এমনটা জানিয়েছেন হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ শাহজাহান।
এর আগেই জাতীয় গ্রিড উপকেন্দ্রের ২৩০/১২/৩৩ কেভির সিটি (কারেন্ট ট্রান্সফরমার) সম্পূর্ণ পুড়ে গেলেও এ ঘটনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জানিয়েছে গ্রিড কর্তৃপক্ষ।এতে বন্দর নগরীর চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, উত্তর কাট্টলী, বন্দর, ইপিজেডসহ চট্টগ্রাম জেলা, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি এবং কক্সবাজার জেলা প্রায় আধা ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়া সিটির (কারেন্ট ট্রান্সফরমার) বাজার মূল্য ১৪-১৫ লক্ষাধিক টাকা বলে জানায় গ্রিড উপকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বৈদ্যুতিক গোলোযোগ হয়ে থাকে। এ রকমের গোলযোগ থেকে হাটহাজারীতে অবস্থিত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের গ্রিড উপকেন্দ্রের ২৩০/১২/৩৩ কেভির সিটিতে (কারেন্ট ট্রান্সফরমার) অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।
তবে এ দুর্ঘটনায় তেমন কোনো বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার পর বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি এবং কক্সবাজার জেলায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পুনরায় চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রিড উপকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।