রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড ম্যানন্টেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী তথ্য জানান।
রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট-শপিংমলের অগ্নিঝুঁকি নিরসন ও অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করছি। প্রতি বছর আমরা বিভিন্ন ভবন হালনাগাদ করি। এরপর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ভবন মালিককে জানাই। চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান না করলে আমরা ব্যানার টানিয়ে দিই, যেন জনগণ সচেতন হয়। আমাদের কার্যক্রমের লক্ষ্যই হচ্ছে জনসচেতনতা বাড়ানো।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫১১টি ভবন, মার্কেট, রেস্টুরেন্ট হালনাগাদ করা হয়েছিল। সেখানেও আমরা অতি ঝুঁকিপূর্ণ, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পেয়েছি।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে অগ্নিনির্বাপণ করতে পারছি না। ভবনগুলোতে মহড়া না করার কারণে আমাদের যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারছি না।
তিনি সবাইকে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি সংরক্ষণ ও মহড়া আয়োজন করার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি মার্কেটের প্রতিটি জায়গায় পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে দাহ্য হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, দোকানে, করিডোরে, সিঁড়িতে ও দোকানের সামনে মালামাল স্তূপ করে রাখা যাবে না। আর মার্কেটের ভেতরে কোনো ধরনের ধূমপান করা যাবে না।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের শুরুতেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হবে। ফায়ার সার্ভিসকে নির্বিঘ্নে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। অগ্নিনির্বাপণের সময় মার্কেটের মালামাল টানাহেঁচড়া করা যাবে না।
এসময় তিনি ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেন।
অর্থসংবাদ/এসএম