১১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু করা হয়। ঐদিন লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেজারি বন্ড লেনদেনের মাধ্যমে এই খাতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে।
ট্রেজারি বন্ড হলো সরকারি সিকিউরিটিজ। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সরকার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। আমাদের দেশে ২,৫,১০,১৫,২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড রয়েছে। বর্তমানে ২৪৬টি ট্রেজারি বন্ড লেনদেন হচ্ছে সেকেন্ডারি বাজারে। সাধারনত প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এই বন্ডের অকশন অনুষ্ঠিত হয় যেটি বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা করে; আর এটি হল প্রাইমারি মার্কেট।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিপি একাউন্ট খোলার মাধ্যমে এই বন্ডের লেনদেন করতে হতো। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে থেকে এই বন্ডে বিনিয়োগ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেকোনো ব্যক্তি বিনিয়োগকারী অথবা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানে বিও একাউন্ট খুলে এই খাতে সরাসরি বিনিয়োগে আসতে পারবে।
এই ট্রেজারি বন্ডগুলোর কাস্টডিয়ান হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বন্ড ছয় মাস পরপর কুপন বা সুদ প্রদান করে। এই বন্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল সেকেন্ডারি মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ। এই লেনদেনের মাধ্যমে সৃষ্ট মূলধনী মুনাফাও এখাতের আরেকটি আয়। অর্থাৎ এই খাত থেকে সুদ ও মূলধনী মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম