শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাজের ধরন অনুযায়ী কিছু শিল্প-কারখানা, যেমন সুতা উৎপাদনকারী স্পিনিং মিল সচল রাখতে হয়। একবার বন্ধ হলে এ ধরনের কারখানা পুনরায় সচল করার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। তাই একটি নির্দিষ্ট বিভাগ সক্রিয় রাখতে হয় স্পিনিং মিলে। মূলত এ কারখানাগুলো ঈদের ছুটিতেও খোলা রাখতে হচ্ছে।
দেশে শিল্প অধ্যুষিত অঞ্চল সাতটি—আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট। এসব এলাকায় মোট কারখানা আছে ৯ হাজার ৬১৬টি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আশুলিয়া এলাকায় ছুটি দেয়া হবে না এমন কারখানা রয়েছে ছয়টি, গাজীপুরে ৩৫টি। চট্টগ্রামে ছুটি হবে না ১৩টি কারখানায়। এছাড়া ময়মনসিংহে ২৫টি কারখানার শ্রমিক-কর্মকর্তাদেরও একটি অংশ এবার ঈদের ছুটি পাচ্ছে না। তবে নারায়ণগঞ্জ, খুলনা ও সিলেটের কারখানাই বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাত শিল্প এলাকায় গতকাল পর্যন্ত ছুটি হয়েছে এমন কারখানা ১ হাজার ৫৬৬টি। এর মধ্যে আশুলিয়ায় ৩৫৮টি, গাজীপুরে ১০১টি। চট্টগ্রামে ছুটি হয়েছে এমন কারখানা ৪৬৭টি। নারায়ণগঞ্জে ছুটি হয়েছে ১৭৮টিতে। ময়মনসিংহে ছুটি হয়েছে ৪৯টি কারখানা। এছাড়া খুলনায় ২৮৮টি ও সিলেটে ছুটি হয়েছে এমন কারখানার সংখ্যা ১২৫।
বেতন-ভাতার হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, দেশের শিল্প অধ্যুষিত সাত এলাকার ৯ হাজার ৬১৬টি কারখানার মধ্যে মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে এমন কারখানার সংখ্যা ৮ হাজার ৯৪৫। এ হিসেবে বেতন পরিশোধ হওয়া কারখানা ৯৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। বাকি ৬৭১ বা ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ কারখানায় এখনো বেতন পরিশোধ হয়নি। এছাড়া বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে এমন কারখানার সংখ্যা ৬ হাজার ৫৯০। এ হিসেবে ৬৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ কারখানায় বোনাস পরিশোধ হয়েছে। গতকাল পাওয়া সন্ধ্যাকালীন তথ্য অনুযায়ী বাকি ৩ হাজার ২৬ বা ৩১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কারখানায় বোনাস পরিশোধ করা হয়নি।