শুক্রবার ত্রিপুরা রাজ্যসরকারের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রাজধানীতে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব আগরতলা-আখাউড়া রুটের রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তার সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ১৫০ কোটি রুপি এই প্রকল্পে বরাদ্দ দিয়েছে।’
‘কেন্দ্রের এই বরাদ্দের জেরে এ লাইনের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। আমরা ভারতে ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ করেছি, বাংলাদেশও ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ করেছে বলে জানতে পেরেছি। যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে— তা অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগরতলা-আখাউড়া লাইনে।’
ব্রিটিশ আমলে আগরতলার সঙ্গে আখাউড়ার সরাসরি রেল যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর সেই যোগাযোগে ছেদ পড়ে। তারপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরবর্তী ৫ দশকেও এই লাইনটি আর চালু করা হয়নি।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারি পর্যায়ে এই রেল নেটওয়ার্কটি পুনরায় চালু বিষয়ক একটি এমওউ (মেমোর্যান্ডম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষরিত হয়)। সেই এমওইউ’র আওতায়ই শুরু হয়েছে এই লাইনটি পুনর্গঠন ও পুনঃস্থাপনের কাজ।
যদি এই লাইনটি চালু হয়, সেক্ষেত্রে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা রুটের ট্রেনযাত্রীরা অন্তত ১০ ঘণ্টা সময় বাঁচাতে পারবেন। বর্তমানে এই রুটের যাত্রীদের আগরতালা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে ৩১ ঘণ্টা।
অর্থসংবাদ/এসএম