প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে এই বার্তা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছে।
সুদানের বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপরে নির্ভর করবে, কীভাবে কোন পদ্ধতিতে তারা যাত্রা করবেন। সবাইকে দূতাবাসের নির্দেশনা মেনে নিবন্ধন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুরোধ করছি। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি, দূতাবাসে যোগাযোগ না করার জন্য। কারণ, সকলেই ব্যস্ত এবং রুটগুলো নিরাপত্তার খাতিরে না জানানোই ভালো। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ৫০০ বাংলাদেশিকে চলতি মাসের মধ্যে জেদ্দায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে দূতাবাস।
সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুদানে দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি রয়েছেন। এর মধ্যে খার্তুমেই প্রায় ১ হাজার ২০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথম দফায় ৫০০ বাংলাদেশিকে এ মাসের শেষে জেদ্দায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য দূতাবাস তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে বাস ভাড়া করার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক অবস্থায় ১০টি বাসে ৫০০ বাংলাদেশিকে পোর্ট সুদান নামে একটি শহরে নিয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে একটি জাহাজ বা ফেরিতে করে নিরাপদে জেদ্দায় পৌঁছানো হবে।