বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। হজ এজেন্সিগুলো প্রযুক্তিগত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেছে। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়েছে। গত ১৪ বছরে হজ ব্যবস্থাপনায় যে উন্নতি হয়েছে তা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন রিফান্ড, নিবন্ধন ও নিবন্ধন রিফান্ড আবেদন সিস্টেমের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ফলে হজযাত্রীরা এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই ভাউচার তৈরি করতে পারবেন।
আগামীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা নিয়ে অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনের আর্থিক লেনদেন সংযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ই-হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সেবাও পর্যায়ক্রমে মোবাইল অ্যাপটিতে সংযুক্ত করা হবে।
হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির ইউজারদের জন্য ই-হজ ব্যবস্থাপনার কাজগুলো পর্যায়ক্রমে অ্যাপটিতে সংযুক্ত করা হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ পালনে হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। সে লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রী এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অংশীজনের জন্য হজ পালনসহ ধর্মীয় ও অন্যান্য বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘হজ ও উমরাহ সহায়ক প্রকাশনার উদ্যোগ স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি চমৎকার উদ্যোগ।
২০১৬ সালে প্রাক-নিবন্ধন চালুর মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এতে হজযাত্রীরা অনলাইনে অনেক সেবা ও তথ্য পাচ্ছেন। সারাদেশে সরকারি অফিস ও বেসরকারি হজ এজেন্সি অনলাইনে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করায় গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও সামগ্রিকভাবে হজের ব্যবস্থাপনা সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (হজ) মো. মতিউল ইসলাম, হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।