আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছে। এই সফরেই প্রতিনিধি দলটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়েছে।
এরই মধ্যে বুধবার (২৬ এপ্রিল) একটি সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট, অনসাইট ও পরিসংখ্যান বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আইএমএফের প্রতিনিধিদলের কাছে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, খেলাপি ঋণের বিষয়ে আইএমএফ সংবেদনশীল। প্রতিনিধি দলটি খেলাপি ঋণ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসময় তাদের সামনে এসব বিষয় উপস্থাপন করে। তাদের জানানে হয় যে, খেলাপি ঋণ কমাতে নিয়মিত তদারকি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোয় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমাতে এমওইউ করা হয়েছে। যেখানে কোন বছর কি পরিমাণ অর্থ আদায় হবে তাও উল্লেখ রয়েছে।
বৈঠকে আইএমএফ দলটি ব্যাংকের পরিচালকদের ক্ষমতার অপব্যহার কমাতে আইনের সংস্কার চেয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের পাশাপাশি বিমা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডাটাভিত্তিক হালনাগাদ তথ্য, পরিদর্শন প্রতিবেদন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে।
এর জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন সংস্থা (আইডিআরএ), ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক অথরিটি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিস অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন যৌথভাবে তাদের চাহিদা মাফিক তথ্য সরবরাহ করবে।
বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব প্রয়োজনে কিছু সংস্কার নিয়ে কাজ করছি। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় (ডলার) হার এক রেটে নিয়ে আসা, সুদহার বাজারমুখী করা ও রিজার্ভ হিসাব আইএমএফের বিপিএম৬ পদ্ধতিতে করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আর রিজার্ভ হিসাবে আমাদের গ্রস হিসাবটিও থাকবে।
মুখপাত্র আরও বলেন, আইএমএফের ‘স্টাফ ভিজিট’ নিয়মিত কাজ। সদস্য সব রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির আলোকে সংস্কার নিয়ে নিয়মিত তদারকি করে থাকে তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আজকের বৈঠকে অর্থনৈতিক সূচকগুলোর হালনাগাদ তথ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে যে, অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম