ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ উদযাপনে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর এখনো পুরোপুরি ঢাকায় ফিরে আসেনি মানুষ। ফলে বাজারও জমে উঠছে না। বিক্রি কম হচ্ছে। তা ছাড়া মুরগির আমদানি কম হওয়ায় দাম কমানো যাচ্ছে না।
এদিকে রোজা শেষ হলেও সবজির দাম তেমন কমেনি। হাতেগোনা কয়েকটি সবজির দাম কমা ছাড়া অধিকাংশই সবজি আগের দামে আছে।
শুক্রবার সকারে রাজধানীর কাঁচা বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে। এ দামে ঈদের আগে বিক্রি হচ্ছিল। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। এ ছাড়া সোনালি জাতের মুরগি ৩৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা।
ক্রেতারা জানান, ঈদের আগে যে দামে মুরগি কিনেছি, সে দামে এখনো কিনতে হচ্ছে। বাসায় মেহমান এসেছে। তাই মুরগি কিনতে বাধ্য হচ্ছি। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির যে দাম তা মনে হচ্ছে গরুর মাংসের দামে কিনতে হচ্ছে। কয়েকটি দোকান দেখলাম কেউ ২৫০ টাকার নিচে দিচ্ছে না।
এদিকে চড়া দামের মধ্যেও কয়েকটি সবজির দাম ঈদের আগের দাম থেকে কিছুটা কমেছে। পটোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা রমজানে ছিল ৮০ টাকা। শশা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০ টাকা। কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা।
মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এখনো তেমন বাজার জমে ওঠেনি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আরও কয়েক দিন পর মাছ বাজার জমে উঠবে।
অন্যদিকে মুদি দোকানে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা, সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা, ডিম ৪৫ টাকা হালি, মোটা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি। মিনিকেট চাল ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি; যা ঈদের আগে ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।