সম্প্রতি হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে আর্থিক ব্যয় মঞ্জুরি প্রদানের এই নির্দেশনাপত্র সংশ্লিষ্টদের দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন কার্যালয় হতে হিসাবরক্ষণ অফিসে দাখিলকৃত বিলসমূহে কতিপয় বিধিবিধান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেমন- আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রযোজ্য আদেশের সংশ্লিষ্ট বিধানের উল্লেখ না করেই মঞ্জুরি প্রদান করা। প্রযোজ্য নির্দিষ্টকরণ আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের আর্থিক মঞ্জুরি প্রদান না করা। উদাহরণস্বরূপ- কোনো কোনো অফিস হতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিল দাবি করে মঞ্জুরির ক্ষেত্রে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট হতে আর্থিক মঞ্জুরি দেয়া হয়েছে। জিএফআর ৫৮ এ উল্লিখিত ‘সুনির্দিষ্টভাবে নবায়ন করা না হলে কোনো নতুন ব্যয়ের জন্য প্রদত্ত মঞ্জুরি বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে তামাদি হয়ে যাবে।’
জিএফআর ৫০ অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রণালয় বা বিভাগ হিসেবে কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক ইহার নিজস্ব আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে জারিকৃত সকল আর্থিক মঞ্জুরি ও আদেশ সরাসরি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিসারকে অবহিত করা হইবে। কিন্তু বিল দাখিলের সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যালয় কর্তৃক সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে সম্বোধন না করে কেবল অফিস আদেশের কপি সংযুক্ত করা হয় যা কোনোভাবেই জিএফআরের উপরোক্ত বিধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, খরচের জন্য উল্লিখিত কোডের সাথে খরচের বিবরণীর অমিল পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোড উল্লেখ করা হয় না এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যয় বা আর্থিক মঞ্জুরির পরিমাপ উল্লেখ করা হয় না। এ অবস্থায় বিধিবিধান মোতাবেক আর্থিক বা ব্যয় মঞ্জুরি আদেশ জারি করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।