পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করছে নতুন কমিশন। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সব ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিষয়ে নির্দেশনা কঠিন নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে সুসাশন নিশ্চিত করতে আজ সোমবার বিএসইসি এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বিএসইসি সূত্র মতে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সুশাসন নিশ্চিতে আগামীতে কমিশন যে ধরণের তথ্য চাইতে তা অ্যাসেট ম্যানেজার, ট্রাস্টি, কাস্টডিয়ান ও উদ্যোক্তাদের সকল তথ্য কমিশনের নিকট দিতে বাধ্য থাকবে।
জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভূমিকা রাখছে। কিন্তু বাংলাদেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনেকটা বিপরীত অবস্থানে। যার কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। এবার এই খাতে সুসাশন ফেরাতে চায় নতুন কমিশন। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. মিউচ্যুয়াল ফান্ডে সুসাশন নিশ্চিত করার জন্য অ্যাসেট ম্যানেজার, ট্র্যাষ্টি,কাস্টডিয়ান ও উদ্যোক্তাদের সকল তথ্য কমিশনের নিকট দিতে বাধ্য থাকবে।
২ এর (এ). কমিশন তথ্য না চাইলেও সঠিক সময়ে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ফান্ডের ফিন্যান্সিয়াল অবস্থা, ফান্ডের চলমান অবস্থা, বিনিয়োগের অবস্থা, নগদ প্রবাহের অবস্থা বছর শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে জানাতে হবে।
২ এর (বি). ফান্ডের ৬ মাস মেয়াদ শেষ হলে ৪৫ দিনের মধ্যে বিএসইসিতে সব তথ্যসহ কমিশনে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে বিগত বছরের একই সময়ের অবস্থান জানাতে হবে।
২ এর (সি).ফান্ডের ৩ মাস মেয়াদ শেষ হলে ৩০ দিনের মধ্যে কমিশনে সব তথ্যসহ জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে গতবছরের একই সময়ের অবস্থান জানাতে হবে।
৩. প্রতি প্রান্তিক শেষ হওয়ার পর ইউনিটহোল্ডারদেরকে ফান্ডের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।
৪. প্রতি প্রান্তিকের প্রতিবেদন অ্যাসেট ম্যানেজারের ওয়েবসাইডে প্রকাশ করতে হবে। একই সাথে অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে অ্যাসেট ম্যানেজারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
এর আগে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিতে ইতিমধ্যেই অনেকগুলো সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।