বুধবার (৩ মে) সালাউদ্দিনকে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজে'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদ উল আলম ও মহাসচিব দীপ আজাদ। সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সেবীকা রানী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় সারাদেশের ফুটবল সংগঠকদের তাকে অপসারণে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ফুটবল সংস্থার শীর্ষ পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, তাদের পরিবারকে জড়িয়ে এই বক্তব্য দেয়ার পর বাফুফে সভাপতির মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেশবাসী সন্দিহান হয়ে পড়েছে। কাজী সালাউদ্দিন দায়িত্ব পালনকালে দেশের এই খেলার মান প্রতিনিয়ত নিম্নগামী। র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় সবার নিচে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, অনিয়ম দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে বাফুফে। যার সাম্প্রতিক প্রমাণ ফিফার নিষেধাজ্ঞা। বিভিন্ন সময়ে এসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তার সর্বশেষ মন্তব্যে। দেশে ও দেশের বাইরে ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পর বাফুফে সভাপতি পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন বলে মনে করেন বিএফইউজে।
সম্প্রতি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে জালিয়াতির দায়ে ২ বছর নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ফিফা। অনিয়মের অভিযোগে আরো ৩ জন পেয়েছেন কারণ দর্শানো নোটিশ। মাঠেও ফুটবলের অবস্থা অথৈবচ। বছরের পর বছর র্যাংকিংয়ের তলানিতে পড়ে আছে বাংলাদেশ। কাজী সালাউদ্দিনের চার মেয়াদে ফুটবলে নেই কোনো বলার মতো সাফল্য। এমনকি গ্রামে-গঞ্জের ফুটবলও গেছে থমকে। এমন অবস্থার মধ্যেই নড়ে বসল বিএফইউজে।