আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত “রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩” শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন প্রতিবেদনটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৫%, চীনের হবে ৫.২%। ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৯%। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫%, মালয়েশিয়ার ৪.৫%, মিয়ানমারের ২.৬%, নেপালের ৪.৪% এবং থাইল্যান্ডের ৩.৪% প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩% হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি ১.৫% হতে পারে।
চীন ও ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।
আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫%, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬.৯% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪.৫%, ভারতের ৬.৩%। অন্য সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০%। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪.৯%, ভারতের ১৫.৪%, বাংলাদেশের ১.৮%, মধ্যপ্রাচ্যের ৭.৮%, ইউরোপের ৭.১%, আফ্রিকার ৪%।