সোমবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি,২৩-মার্চ,২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৮১ পয়সা।
অর্থ্যাৎ ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১০২ শতাংশ।
এছাড়া, প্রথম প্রান্তিকে করপূর্ববর্তী পরিচালন মুনাফা ২,৪৩২ মিলিয়ন টাকা হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা ৯০ ভাগ বেড়েছে। একই সময়ে নীট বিক্রি শতকরা ৩৭ ভাগ বেড়ে হয়েছে ৮,৫৪৬ মিলিয়ন টাকা হয়েছে, যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৬,২৫৯ মিলিয়ন টাকা।
প্রথম প্রান্তিকেও জিওসাইকেলের মাধ্যমে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা প্রদান অব্যাহত ছিল এবং এই তিন মাসে ৮,০০০ টনেরও বেশি নানা ধরনের বর্জ্য নিরাপদে ধ্বংস করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানির ‘গ্রীন গ্রোথ’ এজেন্ডা গতি পেয়েছে। পুরো প্রান্তিক জুড়েই কোম্পানির ব্যয় সংকোচন কার্যক্রম অব্যহত ছিল যা সামগ্রিক ফলাফলে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহি ইকবাল চৌধুরী’ বলেন, প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল আমাদের পণ্যের বৈচিত্র, উদ্ভাবনী পণ্য দ্বারা পরিচালিত কৌশলগত উপস্থিতি, গুনগতমানসম্পন্ন সমাধান, ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট এবং নতুন নতুন চ্যানেলের সমাহারে আমাদের সামর্থের প্রতিফলন। এর পাশাপাশি আমরা আমাদের জিওসাইকেল প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাহকদের টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা দিচ্ছি। বছরের শুরুটা হয়েছে রেকর্ড দিয়ে। আমি কোম্পানির সকল কর্মী এবং সকল চ্যানেল পার্টনারদের ধন্যবাদ জানাই এমন একটা শুরু এনে দেয়ার জন্য। বর্তমান বাজার পরিস্থিতে এই প্রবৃদ্ধির ধারাকে টেকসই করতে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট এর পাশাপাশি আমরা চ্যানেল বৃদ্ধি করা, অ্যাগ্রিগেটস ব্যবসা, নতুন পণ্য এবং সমাধানগুলোর উপর জোর দেয়া অব্যাহত রাখব।