তিন খাতে বিনিয়োগ করতে চায় ভারতের নাগাল্যান্ড

তিন খাতে বিনিয়োগ করতে চায় ভারতের নাগাল্যান্ড
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) এবং বিজনেস এসোসিয়েশন অফ নাগাস (বিএএন) এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার রাতে ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক ট্যুরিজম, গার্মেন্টস, সিমেন্ট খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতের নাগাল্যান্ড।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। আমাদের সাথে রয়েছে পরীক্ষিত প্রতিবেশী ভারত, যেটি আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন সহযোগী। পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কে এগিয়ে নিতে আমরা রেলপথ, আকাশপথ, নদীপথ এবং স্থলপথের মাধ্যমে সবধরনের সহযোগিতাকে এভিনিউয়ের মত উন্মুক্ত করেছি।

যেকোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয় খুবই আন্তরিক এবং আমি মনে করি, এগুলো আমরা দ্বিপাক্ষিক মিটিং এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে খুব সহজেই দূর করতে পারি। নাগাল্যান্ডের প্রতিনিধি দলকে বলবো আমাদের এখানে অনেকগুলো ইকোনমিক জোন রয়েছে, আপনারা সেখানে ইনভেস্ট করতে পারেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারতের নর্থ ইস্ট অঞ্চলের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যকে আমরা সবসময়ই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগিতার প্রায় এক চতুর্থাংশই বাংলাদেশের সাথে হয়ে থাকে। ভারত এবং বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক যে উন্নয়ন তা দেশের অর্থনীতিকেই শক্তিশালী করছে। দুদেশের বাণিজ্যিকে জোরদার করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা ৩৬টি স্থলবন্দর চালু করেছি। যার মধ্যে পাঁচটি ছোট সমন্বিত ডিপো রয়েছে, এর মধ্যে সর্বশেষটি হচ্ছে মেঘালয়ের ডাউকি বন্দর। এটি নাগাল্যান্ড সহজেই ব্যবহার করতে পারছে।

আমরা বলতে পারি নর্থ ইস্ট অঞ্চলের সাথে কানেক্টিভিটি আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পারস্পরিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আমাদের নর্থ ইস্ট রিজিওনের জন্য একটি বড় অংশীদার হতে পারে। গত দশ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের যে চমৎকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে তা কানেক্টিভটির বিষয়টিকে আরও জোরালো করে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টির প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দুদেশের সরকারই সবসময় সচেষ্ট। সাম্প্রতিক নাগাল্যান্ড সফরে আমরা দুই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছি। বিশেষ করে নতুন যে আইডিয়া আমরা পেয়েছি, যেখানে জাপান ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে মাতারবাড়ি পোর্ট ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য পণ্য সরবরাহ করা, সেটা খুবই চমৎকার।

এছাড়া দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রামবন্দর পর্যন্ত রেলওয়ে ব্যবস্থার সম্প্রসারণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এরই মধ্যে নাগাল্যান্ডে বাংলাদেশের ৩৪টি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদি এগুলো ১০% বাস্তবায়িত হয়, তাহলেও আমরা বলতে পারি যে, দুটি অঞ্চলের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।

বিজনেস এসোসিয়েশন অফ নাগাসের প্রেসিডেন্ট মংকুম জামির বলেন, বাংলাদেশের সাথে নর্থ ইস্ট প্রায় ৮০০ কিমি বর্ডার শেয়ার করছে। সামগ্রিক ভারত বাংলাদেশে বেশি রপ্তানি করলেও, ভারতের নর্থ ইস্ট অঞ্চলে বাংলাদেশ রপ্তানি করে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার পণ্য। যেখানে নর্থ ইস্ট জোন বাংলাদেশে রপ্তানি করে ২০০ কোটি টাকা। তাই বাংলাদেশের জন্য নাগাল্যান্ডে বাণিজ্যের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

তিন দেশ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসিসহ ৮ জন প্রত্যাহার
৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি বেড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
দুর্গাপূজার ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি
আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ: এডিবি
স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়লো
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ১ লাখ ৯৫ হাজার
তিন প্রকল্পে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা দেবে এডিবি
দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ মঙ্গলবার
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩.৪ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান