এটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মোখা’।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে নিম্নচাপটির দূরত্ব ১৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে। নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছেন আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যা ৬ টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
তিনি জানান, নিম্নচাপটি বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।এটি বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখানো হয়েছে।এই সংকেত আরো বাড়বে।
আব্দুর রহমান আরো জানান, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় "মোখা"মোকাবিলায় বুধবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কমিটির বিশেষ পূর্বপ্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, ‘মোখা’ মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) প্রধান ডা. এম মহাপাত্র।
তিনি বলেন, ঝড়টি আগামী ১১ মে পর্যন্ত উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এটি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ১১ মে বঙ্গোপসাগরে ঝড়টির বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। এরপর ঝড়টির দিক পরিবর্তন হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে।