প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নিরাপদ নগরী গঠনের লক্ষ্যে ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তর ঝুকিপূর্ণ ভবনসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রেট্রোফিটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। প্রয়োজনীয় কারিগরি ম্যানুয়েল প্রণয়ন করেছে এবং বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
ভূমিকম্প দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে চলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ঝড়-বৃষ্টি এবং টর্নেডোর মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি বাংলাদেশ উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতি ১০০-১৫০ বছরের ইতিহাসে দেশ বড় ধরনের ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ১৮৯৭ সালের গ্রেট আসাম ভূমিকম্পসহ অনেক বড় ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়া ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে বলে বড় মাত্রার যেকোনো ভূমিকম্প ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে। তাই এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল ভবনগুলোকে বিএনবিসি অনুযায়ী ভূমিকম্প সহনীয় করে ডিজাইন করে শক্তিশালী করা। নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সেইসমিক ডিজাইডন পদ্ধতি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। পুরনো দুর্বল ভবনের ক্ষেত্রে যথাযথ সেইসমিক রেট্রোফিটিং করা উচিত।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউআরপি-এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী। সেমিনারে সরকারি/ বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার শতাধিক প্রকৌশলী অংশ নেন।