রবিবার (১৪ মে) দিনের ৪টা ৩০ মিনিট। যখন মোখার দাপট চলছিল টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন উপকূলে ঠিক তখনি কক্সবাজার পৌর শহরে বইছিল বৃষ্টি ওঝড়ো-বাতাস। তবে বৃষ্টির চেয়ে বাতাসের ক্ষীপ্রতা এবং তীব্রতা ছিল বেশি। ঘূর্ণিঝড় হবে এমন আশংকায় মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেনি কেউ। মানুষ আতংকে ঘরমুখো হয়েছে। ফলে প্রধান সড়কে তেমন মানুষের চলাচল ছিলো না। যেন একটি ফাঁকা পৌর শহর।
রিক্সা চালক মনির আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বলে কি পেটে না দিয়ে থাকতে পারি, তাই বের হয়েছি। শহর ফাঁকা হলেও অন্তত চেষ্টা করে দেখি চাল-ডালের খরচ তুলতে পারি কিনা।এদিকে সিএনজি (অটো) চালক ফরিদ গাড়িতে ৫৫০ টাকার গ্যাস ঢুকিয়ে সকাল থেকে বের হয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত যাত্রী খুঁজতে খুঁজতে ফুরিয়ে যায় গ্যাস।শহরের লিংক রোড়ে এসে খালী গাড়ি স্টেশনে রেখে খুঁজছিলেন খাবারের দোকান।কিন্তু দোকান খোলা পাওয়ায় বাড়ির দিকে চলে যান।এর আগে তার সাথে কথা হয় কত টাকার ভাড়া হয়েছে আজকে। তিনি বলেন, সারাদিনে ৭০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া গেছে।রাস্তায় লোকজন তেমন নেই, তাই ভাড়া হয়নি।
শহরের লালদীঘি পাড়ে দেখাহয় কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী সিকদারের সাথে।তিনি জানান, আজ দিনভর অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। মোখার প্রভাবে কারো মন ভালো নেই। মনে ভয় বিরাজ করছিল।তাই হোটেলে একজন বর্ডার ও নেই।তাই সকল স্টাফদের আজকে ছুটি দিয়ে ফেলেছি।আৃমি একা ফাঁকা শহর দেখছি।