এশিয়ার পুঁজিবাজারে আজ জাপানের নিকেই সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়ার শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। দর কমেছে চীনের পুঁজিবাজারেও। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে ডাও জোন্স সূচক কমেছে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ, এস অ্যান্ডপি ৫০০ কমেছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, নাসডাক কম্পোজিট কমেছে ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। আজও যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে এস অ্যান্ডপি সূচক কমবে—এমনটাই বলা হচ্ছে পূর্বাভাসে। তবে নাসডাক সূচকের পূর্বাভাস ইতিবাচক। বছরের শুরুতে ব্যাপক পতন হলেও পরে নাসডাক সূচকটি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ২ সেপ্টেম্বরের পর কিছুটা মূল্য সংশোধন দেখা যায় সূচকটির। এ কদিনে ১০ শতাংশ কমেছে সূচকটি।
টানা কিছুদিন ধরে সূচক বাড়ায় এখন কিছুটা বিক্রির চাপ দেখা যাচ্ছে। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর ব্যাপক বেড়েছিল। কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বিশাল অর্থনৈতিক চমক বা সরকারগুলোর রাজস্ব নীতির পরিবর্তন সব সময় বাজারে তীব্র গতি রাখতে পারবে না। এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য আজকের দরপতনে করোনার টিকা নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ কিছুটা প্রভাব ফেলেছে।
যুক্তরাজ্যে করোনা প্রতিরোধে টিকা নিয়ে তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা চালাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে হঠাৎ করে একজন টিকাগ্রহীতা স্বেচ্ছাসেবী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে করোনার টিকার পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এ খবর কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে পুঁজিবাজারে।
অবশ্য পুঁজিবাজারের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম ও কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি দাম হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েলের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দাম ৪০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।