তবে কোম্পানিটির শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য উদ্যোক্তাদের অংশ বাদে বাকি সব শেয়ারই বাজার থেকে পুনরায় কিনে (বাইব্যাক) নেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে স্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদনও করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে কোম্পানিটি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। এ কারণে মন্দ মানের কোম্পানি হিসেবে এটি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত।
বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫৯ কোটি টাকায় শেয়ারবাজার থেকে কোম্পানিটির সব শেয়ার (উদ্যোক্তা অংশ ছাড়া) পুনরায় কিনে নিতে সম্মত হয়েছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কোম্পানিটির শেয়ার বাইব্যাক করা হবে। এ জন্য ব্যাংকের বিশেষায়িত ‘স্ক্রু’ হিসাবে আগেই ওই টাকা কোম্পানির পক্ষ থেকে জমা করা হবে। এরপর শেয়ারধারীদের কাছ থেকে শেয়ার ফেরত নিয়ে তার বিপরীতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের হিসাবে প্রাপ্য অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। ব্যাংকের স্ক্রু হিসাবে টাকা রাখলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি ছাড়া ওই হিসাব থেকে কোনো অর্থ লেনদেন করা যায় না। এ কারণে স্ক্রু হিসাবের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের বাইব্যাক কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা যায়।