টানা উত্থানের পর শেয়ারবাজারের এই দরপতনকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন থাকবেই। টানা উত্থানের পর কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক।
তাদের মতে, বর্তমানে শেয়ারবাজার খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। প্রায় হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে। সবদিক দিয়েই বাজারে গতি বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। কিন্তু বিক্রির চাপ বাড়ায় শেষদিকে এসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৭১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে অংশ নেয়া ১৬৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৪৮টি এবং ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৯০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১১২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। কোম্পানিটির ১০৪ কোটি ৭২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৫০ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মা, গ্রামীণফোন, বিডি ফাইন্যান্স, ফু-ওয়াং ফুড এবং সামিট পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩২টির এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।