পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
বৈঠকে বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার বিস্তার রোধে বাংলাদেশি মিশনগুলো কী ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদেশে অবস্থিত মিশনগুলো নিজ নিজ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের জবাব দিতে সর্বদা তৎপর রয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি ওই তালিকায় বিস্তারিত বিবরণ নেই বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও জানান, বিদেশে মিশনগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশের বিদ্যমান আইনের অধীনে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অপরাধীদের বিচার করার জন্য দেশগুলোর সরকারের কাছে আবেদন করতে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নয়-দফা অগ্রগতি প্রতিবেদনে তারা বলেছেন, মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবাদ ও অপপ্রচারের জবাব দিতে সর্বদা তৎপর। তবে তারা আরও বলেছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই তালিকায় কোনো নির্দিষ্ট বিবরণ নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িতদের বিচার করার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের বিদ্যমান আইনের অধীনে সেখানকার সরকারের কাছে আবেদন করার জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সেসব দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যাতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থার কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের জন্য ক্ষতিকর ও মানহানিকর বা দেশের স্বার্থবিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, বিষয়বস্তু, সংবাদ বা তথ্য সেখানকার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি উন্নীত করতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তথ্যপূর্ণ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।