প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫.৮০ শতাংশ। যা বিশ্ব শেয়ারবাজারের সেরা পারফরমেন্স করা বাজারের তালিকায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশের পরে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান হয়েছে ভিয়েতনামের ভিএন সূচকের। আগস্টে এ সূচকটি বেড়েছে ১০.৪০ শতাংশ।এশিয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান।যা শতকরা ৪.৭০ শতাংশ বেড়েছে কেএসই ১০০ ইনডেক্স। এরপরের অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কার সিএসই অল ইনডেক্স। যা বেড়েছে ৪ শতাংশ।এশিয়ার শেয়ারবাজার বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয় বলে উল্লেখ করেছে ব্লুমবার্গ। মূল্য-আয় অনুপাত বিবেচনায় এ কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৬.৫ পি/ই নিয়ে সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য অবস্থায় রয়েছে এশিয়ার কাজাগিস্তান। এরপরে ৭.৫ নিয়ে পাকিস্তান, ৮.৯ নিয়ে শ্রীলঙ্কা, ১১.৮ নিয়ে বাংলাদেশ, ১৩.৮০ নিয়ে ভিয়েতনাম, ১৬.৫ নিয়ে থাইল্যান্ড, ১৭.৩০ নিয়ে ফিলিপাইন ও ২৩.৯০ নিয়ে ভারত বিনিয়োগযোগ্য অবস্থান রয়েছে।
এদিকে ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশীদের নিট বিক্রির পরিমাণ বেশি সত্ত্বেও এশিয়ার শেয়ারবাজার উত্থান হয়েছে। তবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশীরা সবচেয়ে কম নিট বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশীরা চলতি বছরে (জানুয়ারি-আগস্ট) কেনার চেয়ে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি বিক্রি করেছে। এরপরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন নিট বিক্রি করেছে শ্রীলঙ্কার শেয়ারবাজারে। ওই বাজারে বিদেশীরা ১৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে। এরপরের অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের শেয়ারবাজারে বিদেশীরা নিট ৩১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি বিক্রি করেছে।