রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল (১৯ মে) রাত সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী যাত্রীবাহী ট্রেনটি শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করে। এসয় ঝড়ে রেল লাইনে পড়া একটি বড় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রেল স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন জানান, দুপুরের পর থেকে শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ চালু করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের অক্ষত ১০টি বগি শ্রীমঙ্গল স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
রেলওয়ের উপ প্রকৌশলী (পথ) ফিরোজ গোলদার জানান ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন ও দুটি বগি উদ্ধার করতে আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন সকালেই আসে। এরমধ্যে দুটি বগি উদ্ধার শেষ হয়েছে। তবে ট্রেনের ইঞ্জিন অনেক ভারী তাই ইঞ্জিন উদ্ধারে কিছু সময় লেগেছে।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, এটি একটি স্বাভাবিক দুর্ঘটনা। ঝড়ে বড় গাছ পড়েছে লাইনের উপর। চালক গাছটি যখন দেখতে পান তখন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন ছিল।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে বিভাগ। রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল কবিরকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোক), বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ ও ওয়াগন) বিভাগীয় প্রকৌশলী (২) ঢাকা, বিভাগীয় সংকেত ও টেলি যোগাযোগ প্রকৌশলী।
কমিটির সদস্যরা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন ও বগি দুটি উদ্ধার করা হয়।