জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী অর্থবছরে ট্রাস্টসহ সব সংগঠন, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, সমবায় সমিতির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সচল রাখতে এই রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রের প্রয়োজন হবে।
পৌরসভায় ১০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের জমি-বাড়ি নিবন্ধন, হস্তান্তর ও লিজিং সংক্রান্ত সেবায় এই প্রমাণপত্র লাগবে।
এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকার বাড়ি ভাড়া ও লিজ নেওয়ার ক্ষেত্রেও রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে, কোম্পানির স্পন্সর কিংবা শেয়ার হোল্ডার হতে, আমদানি- রপ্তানি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে এই প্রমাণ বাধ্যতামূলক করা হবে।
রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, সরকার সরবরাহকারী বা পরিষেবা প্রদানকারীদেরও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে। দলিল লেখা, কোর্ট ফি প্রদানসহ ইত্যাদি কাজেও রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ লাগবে।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়াতে গত বছর ৩৮ ধরনের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়।
রাজস্ব বোর্ড সেসময় জানায়, এসব ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ হিসেবে তিন ধরনের নথির যে কোনো একটি জমা দিলেই সেবা পাওয়া যাবে। সেগুলো ছিল- আয়কর রিটার্ন জমার বিষয়ে এনবিআরের প্রাপ্তি স্বীকার পত্র, করদাতার নাম, টিন, কর দেওয়ার বছর উল্লেখ করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এনবিআরের দেওয়া সনদ এবং করদাতার নাম, টিন, কর দেওয়ার বছর উল্লেখ করে কর উপ-কমিশনারের দেওয়া সনদ।
অর্থসংবাদ/এসএম