বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার। এরপর ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে দিন শেষে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৪০৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।
চলতি মে মাসের শুরুতে ডলার একবার ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ডলারের নিচে নামে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ের আমদানি বিল বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নামে। এরপর বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ ছাড় হয়ে এলে খানিক বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এরপর বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার বিক্রি করা হলে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে আসে রিজার্ভ।
কোভিড মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। সে সময় আমদানি কমে যাওয়া ও মানুষের বিদেশ ভ্রমণ কমে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২১ সালের শেষার্ধে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। কোভিড মহামারি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকে। কিন্তু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু হলে আমদানি বৃদ্ধি পায়, মানুষের বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয়। এসবের ফলে কমতে থাকে রিজার্ভ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রিজার্ভ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে থাকে। যত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়, আর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে রিজার্ভ। আমদানি ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলার বিক্রি করার কারণে রিজার্ভে টান পড়ে। বিপরীতে যে হারে ডলারের যোগান বৃদ্ধির কথা ছিল, সেটা হয়নি।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপগুলো কাজে আসেনি। সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়। আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি সরবারহ করে। কিন্তু তাতেও রিজার্ভের ঝুঁকি সীমা ধরে রাখা যাচ্ছে না।
অর্থসংবাদ/এসএম