আজ শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও কমিউটার-মেইল-লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটও কাউন্টারে পাওয়া যাচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। প্রায় ২০টি কাউন্টারের মাধ্যমে সকল আন্তনগর যাত্রীবাহী ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।
করোনার কারণে প্রায় সাড়ে ৫ মাস স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকার পর আজ আবার আগের অবস্থায় ফিরেছে কমলাপুর রেলস্টেশন। তবে কাউন্টারে টিকিট কাটা যাত্রীদের ভিড় একেবারেই লক্ষ্য করা যায়নি। গত ৩১ মে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ ছিল। টিকিট দেওয়া হতো শুধুমাত্র অনলাইনে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার কাউন্টারে টিকিট বিক্রির বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একযোগে আজ থেকে কমলাপুরসহ সারা দেশের রেলস্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কাউন্টার থেকে ২৫ শতাংশ আসনের টিকিট দিচ্ছি আমরা। তবে আন্তনগর ট্রেনে সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যুও সম্পন্ন বন্ধ আছে।
তবে কাউন্টার, মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইল কোটায় অবিক্রিত টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা পূর্বে যে কোনো মাধ্যম থেকে টিকিট কাটা যাবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, কাউন্টার থেকে যাত্রার ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা। সকাল ৬টা থেকে মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলে ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি অব্যাহত আছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সরকারের নির্দেশনার পর গত ৩১ মে থেকে আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়।
উল্লেখ্য, এখন সব মিলিয়ে মোট ৮১ জোড়া অর্থাৎ ১৬২টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে। আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে আরও ২৮ জোড়া অর্থাৎ ৫৬টি কমিউটার, মেইল, এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন রেলের বহরে যুক্ত হবে। সব মিলে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে ৩৬২টি।