আলোচ্য সময়ে মতিন স্পিনিংয়ের গ্রস মুনাফা হয়েছে ২১ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১১ কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ হিসাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফা কমেছে ৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বা ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।
জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে ৮১ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে মতিন স্পিনিং। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। এ হিসাবে আলোচ্য ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস কমেছে ৩৩ পয়সা বা ২৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এদিকে প্রথমার্ধে রাজস্ব কমলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তা বেড়েছে মতিন স্পিনিংয়ের। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির রাজস্ব আয় হয়েছে ১১৭ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০৯ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ হিসাবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব বেড়েছে ৭ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার টাকা বা ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির গ্রস মুনাফা হয়েছে ১২ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ কোটি ৮৩ লাখ ১২ হাজার টাকা। নিট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪২ টাকা ৯০ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে মতিন স্পিনিং। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪২ টাকা ৯০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সা।
সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী, মতিন স্পিনিংয়ের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত ও চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় মতিন স্পিনিং। তার আগে ২০১৭ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ হিসাব বছরে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ, ২৭ শতাংশ ও ২৩ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার মতিন স্পিনিং শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৩২ টাকা ৯০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২২৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার। এর ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ৫৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৩২ দশমিক ৯৯, হালনাগাদ প্রান্তিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১৯ দশমিক ৭৫।