আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেটে এই প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে সাধারণ করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, সাড়ে তিন লাখ টাকার পরের প্রথম এক লাখ টাকার জন্য ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৩ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
নারী করদাতা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে চার লাখ টাকা। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়সীমা হবে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা।
এছাড়াও অর্থমন্ত্রী আরও প্রস্তাব করেছেন, গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা পাঁচ লাখ টাকা হবে। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটি এলাকায় অবস্থিত করদাতার জন্য ন্যূনতম কর পাঁচ হাজার টাকা, অন্য সিটির করদাতার জন্য চার হাজার এবং সিটি করপোরেশন ব্যতীত অন্য এলাকার করদাতার জন্য তিন হাজার টাকা দিতে হবে।