শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
বিকেল ৪টার কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাজেট আমরা দিয়েছি...। বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলেই দিয়েছি। জ্ঞানী-গুণী বলছে, বাস্তবায়ন করতে পারব না নাকি। প্রতিবার বাজেটের আগে যেভাবে বলে, সেভাবেই বলে যাচ্ছে। আমরা কাজ করি মানুষের জীবন উন্নত করার জন্য। এটা সম্ভব হয়েছে টানা সরকারে থাকার কারণে, একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে বলেই। স্থিতিশীলতা আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশের কোনো উন্নতি হতো না।
বাজেট বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশবাসী আমাদের সাথে আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বোধহয় এত বড় বাজেট কেউ দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ পরিকল্পতভাবে প্রকল্প নেয় বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞায় সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশে এই শীতে তারা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও তাদের নানা বিধি- নিষেধ আছে। পরিবারের জন্য একসাথে ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারে না। একসাথে পাঁচটির বেশি টমেটো কিনতে পারে না। আমেরিকায়ও মানুষ হিমশিত খাচ্ছে সংসার চালাতে। এই অবস্থার মধ্যেও আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের গুরুত্ব ছিল গ্রামে অর্থ দিয়ে তাদের অবস্থার উন্নতি করা। এটা করতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ১৮ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র ২৫ থেকে ৫.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাআল্লাহ, হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না। ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিয়েছি। কেউ গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না।
ভবিষ্যতে পোশাক খাতের পর দ্বিতীয় রপ্তানি খাত হিসেবে প্রযুক্তিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সব ধরনের অবকোঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ঢাকা চারপাশে চারটি স্যাটেলাইট টাউন, ঢাকা ঘিরে এলিভেটেড রিং রোডসহ আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
ঢাকার তেজগাঁও থেকে ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় ভালো জায়গা পাওয়া যায়, সেটি দেখা হচ্ছে, যেখানে আধুনিক ট্রাকস্ট্যান্ড করা যায়। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।
বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী ও সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।