প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি, বর্তমান লোডশেডিং থেকে দ্রুত আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো।চলমান তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি আনতে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। আশা করছি, কিছু সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।” লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যা সবার জানা উচিত। কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব ও পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা আপনারা সবাই জানেন।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েলসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে আকাশচুম্বী হয়েছে, এমনকি বাজারে এর প্রাপ্যতাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই সংকট এখনও চলছে। অন্যদিকে, ডলারের বিনিময় হার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস, কয়লা এবং ফার্নেস অয়েলের মতো জ্বালানি আমদানিতে প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে চলমান লোডশেডিং হচ্ছে, যোগ করেন তিনি।
দেশে বিদ্যুতের আগের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে মাত্র ৪৪% মানুষ বিদ্যুৎ পেতে পারত, যা এখন ১০০%। তখন দেশবাসী দিনে কমপক্ষে ১৬-১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দেখেছে। বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা গত যুগে বিদ্যুতের উৎপাদন ৫ গুণেরও বেশি বাড়িয়েছি। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ)।’
উৎপাদন ক্ষমতার দিক থেকে বিদ্যুৎ বিভাগে কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের অভূতপূর্ব ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে আমরা অপ্রত্যাশিত লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আমি আশা করি আপনাদের (দেশবাসী) আস্থা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে। আমরা একসাথে থাকব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুর্ভোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।’