জুমা বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত
জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে- জুমা পড়ার অনুমতি থাকা। যাতে সব মুসলমান বিনা বাঁধায় স্বাধীনভাবে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করতে পারে। এ ছাড়া যেসব শর্ত না থাকলে জুমার পড়া বিশুদ্ধ হবে না। তাহলো-
১. সময় নির্ধারিত হওয়া
জুমা পড়ার জন্য নির্ধারিত ওয়াক্ত বা সময় জরুরি। এ নামাজ জোহরের ওয়াক্তে পড়তে হয়। সুতরাং কেউ চাইলে জোহরের ওয়াক্তের আগে কিংবা পরে এ নামাজ পড়লে তা আদায় হবে না। তাছাড়া জুমার নামাজ কাজা পড়ার যেমন নিয়ম নেই তেমনি জোহরের ওয়াক্তের আগে/পরে পড়ারও কোনো নিয়ম নেই। জুমা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য জোহরের ওয়াক্তেই আদায় করতে হবে। একান্ত যদি কেউ জুমার নামাজ পড়তে না পারে তবে তাকে জোহর নামাজ আদায় করতে হবে।
২. জুমার আগে খুতবা পড়া
জুমার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে নামাজের আগে দুটি খুতবা দেওয়া। খুতবা ছাড়া নামাজ পড়লে বা নামাজের পর খুতবা পড়লে জুমার নামাজ আদায় হবে না। সুতরাং জুমার ২ রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার আগে মুয়াজ্জিনের আজানের পর ইমাম দুইটি খুতবা দেবেন। এ খুতবা জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত।
৩. জামাত হওয়া
জামাত ছাড়া জুমার নামাজ আদায় করা যায় না। জুমার নামাজের জন্য শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি হলো- জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করা। জুমার জামাত হওয়ার জন্য খুতবা-এর শুরু থেকে ইমাম-মুয়াজ্জিন ছাড়া কমপক্ষে ৩ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ জামাত শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথাযথ সময়, ২টি খুতবা ও যথাযথ উপস্থিতিসহ খুতবা ও জামাত অনুষ্ঠিত করা। আর তাতেই বিশুদ্ধ হবে জুমার নামাজ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশুদ্ধভাবে জুমার নামাজ আদায় করতে যথাযথ শর্তগুলো পূরণ করার তাওফিক দান করুন। জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর হুকুম পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
অর্থসংবাদ/এসএম