জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আঙ্কটাডের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অর্থপ্রবাহসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বার্ষিক গড়ে ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাহ্যিক অবৈধ অর্থপ্রবাহ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেথামফেটামিন ট্যাবলেট, হেরোইন, বুপ্রেনরফিন এবং ফেনসিডিল বেচাকেনার মাধ্যমে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে।
জাতিসংঘের অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) সহায়তায় আঙ্কটাড এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকার হিসাব অনুমানভিত্তিক বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯টি দেশের মাদক সংক্রান্ত অবৈধ অর্থপ্রবাহের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নেপাল ও পেরু।
কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের ভেতরে চোরাচালান করা মাদকের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়। ফলে উদ্ধারকৃত মাদকের বাজারমূল্য পাঁচগুণ বাড়িয়ে অর্থপাচারের হিসাব করেছে ইউএনওডিসি। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েই মাদক সংক্রান্ত অর্থ পাচারের অনুমানভিত্তিক এই হিসাব করেছে আঙ্কটাড।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের মাধ্যমে অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। অন্যদিকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মাদকের মাধ্যমে অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। তালিকায় এশিয়ার পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পরই রয়েছে মালদ্বীপ (দ্বিতীয়) ও নেপাল (তৃতীয়)। আর চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান এবং মিয়ানমার।
আঙ্কটাড বলছে, অবৈধ মাদকের অর্থপ্রবাহের হিসাবে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপরে রয়েছে যথাক্রমে কলম্বিয়া (দ্বিতীয়), ইকুয়েডর (তৃতীয়), পেরু (চতুর্থ) এবং বাংলাদেশ (পঞ্চম)।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক এই সংস্থা বলেছে, ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বাংলাদেশে ঢুকছে। এর ফলে মাদক কেনার অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে।