আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ম্যানিলা থেকে এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক রিপোর্টে এ তথ্য দেওয়া হয়।
উৎপাদন খাতে চাঙা ভাব ও রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি সহনীয় মূল্যস্ফীতি ও চলতি খাতের ঘাটতি ১.১ শতাংশ হবে ধারণা করছে ব্যাংকটি। দক্ষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারের প্রণোদনার দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং এ কারণে ৬.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে বাংলাদেশে বা রফতানি বাজারে কোভিড ১৯ দীর্ঘায়িত হওয়া।
স্বাস্থ্য ও মহামারি ব্যবস্থাপনা করার জন্য চাপ থাকলেও প্রণোদনা প্যাকেজ ও সামাজিক সুরক্ষার মাধ্যমে সরকার অর্থনীতি ভালো ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হয়েছে। রফতানির বর্তমান ভালো অবস্থা ও বিদেশ থেকে অর্থায়ন সংগ্রহ করার পাশাপাশি সরকারের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার চলমান থাকবে।
দ্রুত করোনার টিকা সংগ্রহ করা ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় জোর দেওয়া হলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার টেকসই হবে। মহামারির এই সমস্যা একটি সুযোগও বটে এবং এর ফলে সম্পদের ব্যবহার, রফতানি বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার বেগবান করা যেতে পারে।
এডিবি করোনা মহামারির জন্য ইতোমধ্যে ৬০ কোটি ডলার দিয়েছে। এছাড়া ২০২১-২৩ মেয়াদে ৫৯০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে এডিবি এবং যদি সম্পদ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় তবে বাড়তি ৫২০ কোটি ডলার পর্যন্ত সহায়তা পাবে বাংলাদেশ।