বন্দর দিয়ে শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই হিসাব অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথমে জুলাইয়ে বন্দর থেকে ৪২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, আগস্টে ৪৯ কোটি ৬ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ, অক্টোবরে ৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ, নভেম্বরে ৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ, ডিসেম্বরে ৫০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিপরীতে ২৮ কোটি ৩৬ লাখ, জানুয়ারিতে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার বিপরীতে ২৪ কোটি ১৭ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২৫ কোটি ৭৭ লাখ, মার্চে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার বিপরীতে ৫৭ কোটি ৯৭ লাখ, এপ্রিলে ৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৪ কোটি ১২ লাখ, মে মাসে ৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বিপরীতে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে অধিক শুল্কযুক্ত যেসব পণ্য আমদানি হতো সেসব পণ্যের আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। অর্থবছর শেষ হতে আর মাত্র দুই সপ্তাহের চেয়ে কম সময় রয়েছে। বর্তমানে রাজস্ব আহরণের যে ধারা, তাতে করে এনবিআর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, বন্দর দিয়ে জিরা ও এলাচের আমদানি আগের তুলনায় কমে এসেছে। ফুচকার আমদানিও একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করার কারণেও রাজস্ব আয় কমেছে। তবে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর ফলে এ মাসে রাজস্ব কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি লক্ষ্যমাত্রার যতটা কাছাকাছি যাওয়া যায়।
অর্থসংবাদ/এসএম