বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে টেক্সটাইল খাতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘ইনটেক্স সাউথ এশিয়া’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। এতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেমসহ বস্ত্রখাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়ন, পণ্যের বহুমুখীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং এ খাতের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে বস্ত্রখাতের উন্নয়নে কাজ করছে। পাশাপাশি টেকসই ও যুগোপযোগী বস্ত্রখাত তৈরি করতে নানামুখী নীতিমালা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, বস্ত্রখাতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে এ খাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে করোনার ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।
বর্তমান সরকার পোশাকখাতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতকে ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহিত করছে। এ খাতের ব্যবসা সহজ করার জন্য নীতিসহায়তা প্রদান, অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধিসহ দৃঢ় সহায়তার ভূমিকা পালন করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বন্দরের সুবিধা বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা, বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত ও পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এসময় দেশের সাশ্রয়ী শ্রমশক্তি, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং দক্ষ মানবসম্পদের সমন্বয়ে তৈরি পোশাকখাত দক্ষতা ও প্রতিযোগিতায় বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড হয়ে হয়ে উঠতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
অর্থসংবাদ/এসইউ