হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক এ দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম আগের তুলনায় বাড়তির দিকে। গত বুধবার বন্দরে যে ইন্দোর পেঁয়াজ পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এর পরদিন সেই একই পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দাম নিম্নমুখী ছিল। দাম কম হওয়ায় আমাদের কিনতে সুবিধা হয়েছিল। এছাড়া পুঁজি কম লাগছিল, মোকামে ক্রেতাদের চাহিদামতো পেঁয়াজ পাঠানোও সম্ভব হচ্ছিল। কিন্তু ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দর দিয়ে বেশ কয়েকদিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে। ফলে মোকামগুলোয় চাহিদা আগের তুলনায় খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু সপ্তাহের প্রথম দিকের তুলনায় শেষের দিকে আমদানি কিছুটা কমে আসে। এতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় আবারো দাম ঊর্ধ্বমুখী।
আমদানিকারকরা বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমদানির অনুমতি দেয়ায় দীর্ঘ ২ মাস ২০ দিন বন্ধের পর ৫ জুন পুনরায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এরপর থেকেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে শুরুর দিকে আমদানি কিছুটা কম থাকলেও পরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়ছিল। তবে সপ্তাহের শেষ দিকে আমদানি কিছুটা কমে গিয়েছিল।