সোমবার (২৬ জুন) রাজধানী মানিক মিয়া এভিনিউ-এ বিজেআরআই-এ জেনোম এবং পাটের গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশার কথা জানান তিনি। “পাট বিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্প (জেনোম) এবং বিজেআরআই এর গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা” শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই)।
কৃষি সচিব বলেন, পাটখড়িকে আমাদের উদ্যোক্তারা গোটা বিশ্বব্যাপী বায়োডিগ্রেডেবল পণ্য হিসেবে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। পাটখড়ি দিয়ে যে চারকল তৈরি হচ্ছে তা বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রায় ১০০-১৫০ কোটি টাকা উপার্জন করছে। আমি আশা করছি- এই সংখ্যা খুব দ্রুতই ৪০০-৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা ৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাটকে চাষাবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা পাটকে যেন বহুমুখীভাবে ব্যবহার করতে পারি সেজন্য উদ্যোক্তা এবং কৃষকদের আহ্বান জানাচ্ছি।
পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করে প্রথমবারের মতো কৃষক প্রণোদনা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
উদ্যোক্তা এবং কৃষকদের প্রশংসা করে কৃষি সচিব বলেন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের কেনাফ চাষীরা পাট চাষে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পাট একটি প্রাকৃতিক ফাইবার। পৃথিবীতে সহজে প্রাকৃতিক ফাইবার পাওয়া যায় না। সেখানে আমাদের ছোট্ট একটি দেশে পাটের মতো প্রাকৃতিক ফাইবার এতো সহজলভ্য। করোনার সময় আমাদের কৃষকরা আমাদের মাঠকে আঁকড়ে ধরেছিল, আমাদের ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়নি দেখেই আমাদের দেশ খাদ্য অভাবে পড়েনি, কোন রকম হাহাকার হয়নি।
পাট বিজ্ঞানী ড. মো. মাকসুদুল আলমের প্রশংসা করে সচিব বলেন, মাকসুদুল আলম স্যার একঝাঁক পাট বিজ্ঞানী আমাদের দিয়ে গেছেন, যারা নিরলসভাবে পাটকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিজ্ঞানীদের পাটের বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। বৈচিত্র্যতার কোনো সীমা নেই। তাই পাটের বৈচিত্র্য নিয়ে যত কাজ করা যাবে, পাট ততই এগিয়ে যাবে।
বিজেআরআই’র মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাসুদ করিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেহানা ইয়াছমিন (গবেষণা অনুবিভাগ), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (তৈলবীজ) ড. মো. তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জেনোম প্রকল্পের গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারকে অবহিত এবং প্রকল্পটির ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করান প্রকল্পটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার কৃষিবিদ ড. কাজী মো. মোছাদ্দেক হোসেন। বিজেআরআই এর গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন বিজেআরআই এর প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক ড. এস. এম. মাহবুব আলী।